শফিয়েল আলম সুমন
ডা. হালিদা হানুম আখতার মানবতার একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র । তিনি ১৯৭১ সাল থেকে নিজেকে মানব সেবায় নিয়োজিত করেছেন আজ অবধি করে যাচ্ছেন। তার জেলা রংপুরে জন স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবা চলমান রেখেছেন । তিনি মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত,নিপীড়িত, ধর্ষিতা বীরাঙ্গনাদের সেবাদানে এবং
জনস্বাস্থ্যে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন ডাক্তার হালিদা হানুম আখতার।তিনি
বাংলা একাডেমী ফেলোশীপ পুরস্কার ও বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩ লাভ করেন। স্ত্রী
রোগ ও প্রসূতিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রির পর আমেরিকার জনস হপকিল
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনস্বাস্থ্য মাস্টার্স ও ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনস্ত প্রজনন স্বাস্থ্য গবেষনা
ইনস্টিটিউট’র প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ছিলেন। দেশের বৃহত্তম পরিবার পরিকল্পনা
সংস্থার মহাপরিচালক ছিলেন। এর আগে ও পরে এই দপ্তরে কোন নারী এতোবড় দায়িত্ব
পালন করার সুযোগ পায়নি। দেশে বিদেশে ডাক্তার হালিদা হানুম আখতার ডাক্তারী
বিদ্যায় বহু ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এই মহিয়সী রমনী ১৯৭১ সালে তৎকালীন
সরকারের অধীনে আমেরিকায় মেডিসিন সাইন্সে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনে গমন করেন।
সেসময়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের আহবানে সাড়া দিয়ে তিনি
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। দেশে এসে তিনি মুক্তিযুদ্ধে নিপীড়িত,নির্যাতিত,
ধর্ষিত বীরাঙ্গনাদের সেবাদানে ব্রত হন। ধানমন্ডির ৭ নম্বর রোডে ২৬ বি (
বর্তমান ঠিকানা) “সাদাবাহার” এর সেবাসদন হাসপাতালে এসব নির্যাতিত নারীদের
সেবাদান করেন। টানা চার মাস বীরাঙ্গনাদের কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাদের
করুণ ও বিভিষিকাময় কাহিনীর নিরব স্বাক্ষী তিনি। তাদের তৎকালীন জীবনচারিত ও
অজনা কথা নিয়ে তিনি লিখেছেন,সম্ভ্রম যোদ্ধা: সেবাসদন ও একজন ডাক্তার
হালিদা” নামক ঐতিহাসিক বইটি। বইটির প্রতিটি পরতে পরতে উঠে এসেছে
বীরাঙ্গনাদের অকথিত কাহন।আজ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর
সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ডা. হালিদা হানুম আখতার সহ একটি প্রতিনিধি দল নারীর
প্রতি বৈষম্য দূর করতে ” নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন” জমা
দিয়েছেন ।
0 Comments